আবদুল গাফ্ফার চৌধুরী
কবিয়াল রমেশ শীলের একটি গানের দুটি চরণ এখানে উদ্ধৃত করছি। ‘জনতা ছিনাইয়া আনে জয়/ নেতারা সেই জয় করে শুধু ক্ষয়।’
অর্থাৎ জনতা প্রবল যুদ্ধ করে গণশত্র“দের পরাজিত করে যে জয় ছিনিয়ে আনে, তাদের নেতারা ক্ষমতায় বসে নিজেদের ভুল, সুবিধাবাদিতা ও অযোগ্যতার জন্য সেই জয়কে পরাজয়ে পরিণত করে নিজেরা ডোবেন এবং দেশকেও ডোবান।
এই কথাটা যে কত বড় সত্য, তা আমার নাতিদীর্ঘ সাংবাদিক জীবনেও বহুবার প্রত্যক্ষ করেছি। আমাদের দেশের রাজনীতির সবচেয়ে বড় ট্রাজেডি হল, জনতা ভুল করে না। ভুল করেন নেতারা। তার মাশুল দিতে হয় আবার জনতাকেই। ১৯৫৪ সালে পাকিস্তান আমলে আমরা কী দেখেছি? স্বৈরাচারী মুসলিম লীগ-শাহীর বির“দ্ধে পূর্ব পাকিস্তানে যুক্তফ্রন্টের মাধ্যমে জনতার যে দুর্ভেদ্য ঐক্যের দুর্গ গড়ে উঠেছিল, তার ফলে নির্বাচনে এক ঐতিহাসিক জয়ের অধিকারী হয়েছিল যুক্তফ্রন্ট। জনতা লীগ-শাহীকে সমূলে উৎখাত করেছিল পূর্ব পাকিস্তানের মাটি থেকে। জনতা জয় অর্জনে ভুল করেনি। কিš‘ সেই জয়কে ধরে রাখতে পারলেন না নেতারা।
নির্বাচন জয়ের পর পরই মওলানা ভাসানী জনগণের বিজয়ের সাফল্যকে সংহত করার আগেই চলে গেলেন ইউরোপে তখনকার বাম নেতাদের পরামর্শে শান্তি সম্মেলনে যোগ দিতে। সোহরাওয়ার্দী অসু¯’ হয়ে বিদেশে চলে গেলেন চিকিৎসার জন্য। আর শেরেবাংলা? এত অভিজ্ঞ, প্রবীণ রাজনৈতিক নেতা হয়েও তিনি তখন ভাগ্নে নান্না মিয়া, ফরিদপুরের মোহন মিয়া, হামিদুল হক চৌধুরী প্রমুখ তখনকার সুবিধাবাদী নেতা দ্বারা পরিবেষ্টিত হয়ে (বর্তমানের শেখ হাসিনার মতো) যুক্তফ্রন্টের শরিক দল আওয়ামী লীগকে সম্পূর্ণ উপেক্ষা করে তার নিজের দল কৃষক শ্রমিক পার্টির মাত্র দু’জন সদস্যকে নিয়ে মন্ত্রিসভা গঠন করেন এবং নিজে মুখ্যমন্ত্রী হন। তৃতীয় সদস্য ছিলেন নেজামে ইসলাম পার্টির।
এই মন্ত্রিসভা গঠনে শরিক দলগুলোর সঙ্গে তিনি পরামর্শ করারও প্রয়োজন মনে করেননি। এই ত্রিসদস্য মন্ত্রিসভার সদস্য ছিলেন সৈয়দ আজিজুল হক নান্না মিয়া, আবু হোসেন সরকার এবং নেজামে ইসলামের আশরাফ উদ্দীন চৌধুরী। যুক্তফ্রন্টের বড় অঙ্গদল হওয়া সত্ত্বেও প্রথমেই এই মার খাওয়ার পরও আওয়ামী লীগ গোড়ায় চুপ করে ছিল। কিš‘ তখনই যুক্তফ্রন্টে অনৈক্য ও দুর্বলতার সূত্রপাত হয়। যুক্তফ্রন্টের এই অনৈক্যের সুযোগ গ্রহণ করে তখনকার কেন্দ্রীয় রাজধানীতে ক্ষমতাসীন সেনা সমর্থিত কেন্দ্রীয় মুসলিম লীগ সরকার। বগুড়ার মোহাম্মদ আলী ছিলেন এই সরকারের অনির্বাচিত প্রধানমন্ত্রী।
শুর“ হয় পূর্ব পাকিস্তানে যুক্তফ্রন্ট সরকারকে উৎখাতের ষড়যন্ত্র। আদমজী জুট মিলে ও চন্দ্রঘোনা কাগজের মিলে ভাড়াটিয়া অবাঙালি শ্রমিক দ্বারা দাঙ্গা বাধানো হয় (শেখ হাসিনার এবারের ক্ষমতা গ্রহণের সঙ্গে সঙ্গে যেমন বিডিআর বিদ্রোহ ঘটানো হয়) এবং তার অজুহাতে হক মন্ত্রিসভাকে বরখাস্ত করার প্র¯‘তি নেয়া হয়। দাঙ্গা-হাঙ্গামা শুর“ হওয়ার কিছু আগে এই ষড়যন্ত্র টের পেয়ে হক সাহেব দ্র“ত তার মন্ত্রিসভা সম্প্রসারণ করেন এবং আওয়ামী লীগের আতাউর রহমান খান থেকে শেখ মুজিবুর রহমান পর্যন্ত অনেককে মন্ত্রিসভায় গ্রহণ করেন। কিš‘ তখন বড় বেশি দেরি হয়ে গেছে।
বিরাট নির্বাচন-বিজয়ের নেশায় শেরেবাংলা প্রথমে বুঝতে পারেননি, তার পরাজিত শত্র“পক্ষ কত বেশি শক্তির অধিকারী। তিনি কেবল নিজের নেতৃত্বের ক্যারিশমার জোরে নির্বাচনে জয়ী হননি। নির্বাচনে জয়ী হওয়ার কারণ জনতার ঐক্য এবং শক্তি। যুক্তফ্রন্ট এই ঐক্য ও শক্তির প্রতীক। এই যুক্তফন্টের ঐক্যে ফাটল ধরায় যুক্তফ্রন্ট শক্তিহীন হওয়ায় শত্র“পক্ষ আঘাত হানার সুযোগ পেয়েছে। তিনি তাই তাড়াতাড়ি আওয়ামী লীগকে মন্ত্রিসভায় এনে যুক্তফ্রন্টের ঐক্যের দ্বারা তখনকার পাকিস্তানের সেনা এবং মার্কিন সমর্থিত কেন্দ্রীয় মুসলিম লীগ সরকারের আঘাত প্রতিহত করতে চেয়েছিলেন। পারেননি। ক্ষমতায় বসতে না বসতেই তার মন্ত্রিসভাকে বরখাস্ত করা হয়। ফজলুল হক গৃহবন্দি হন। শেখ মুজিবুর রহমানসহ অসংখ্য নেতাকে গ্রেফতার করা হয়। পাকিস্তানে অঘোষিত সামরিক শাসনের সূচনা হয়। পূর্ব পাকিস্তানে জনতা যে ঐতিহাসিক বিজয় ছিনিয়ে এনেছিল, নেতাদের ভুলে, দুর্বলতায় এবং ক্ষমতার দ্বন্দ্বে সেই বিজয় ছিনতাই হয়ে যায়।
নেতারা কীভাবে জনতার আÍদান ও রক্তে অর্জিত জয়কে নিজেদের স্বার্থ, জেদ, সংকীর্ণ চিত্ততা, ক্ষমতার মোহ ও নেতৃত্বের কোন্দলে পরাজয়ে পরিণত করেন এবং জনতার আন্দোলন ও আÍত্যাগকে ব্যর্থ করে দেন, তার আরও অনেক উদাহরণ টানতে পারি। কিš‘ নিবন্ধটির পরিসর আর বাড়াতে চাই না বলে একটি উদাহরণেই ইতি টানলাম।
বাংলাদেশে এতকালের দীর্ঘ স্বৈরাচার ও সেনা-তাঁবেদার সরকারের বির“দ্ধে জনগণের আন্দোলনের পর ২০০৮ সালে ডিসেম্বর নির্বাচনে জনগণের ঐক্যের যে বিরাট ও ঐতিহাসিক বিজয়; সেই বিজয়ের তিন বছর না যেতেই বিজয়ের ফসল নষ্ট হতে বসা, সম্পূর্ণ পরাজিত ও বিধ্বস্ত বিএনপি এবং জামায়াতের এত শিগগিরই আবার ঘুরে দাঁড়ানো, ’৭১-এর যুদ্ধাপরাধীদের বিচার বানচাল করার প্রকাশ্য তৎপরতা চালানোর সাহস দেখানো, তথাকথিত সুশীল সমাজ ও ড. ইউনূস-কর্তৃক সরকারবিরোধী দ্বিতীয় ফ্রন্ট আবার খোলা, জনমনে ক্ষোভ, আইন-শৃংখলা পরি¯ি’তির দ্র“ত অবনতি, তথাকথিত নিরপেক্ষ মিডিয়ার আবার বিভ্রান্তি সৃষ্টির চাতুরীর খেলা ইত্যাদি দেখে বুঝতে অসুবিধা হয় না জনতার দোষে নয়, নেতৃত্বের দোষে, নেতৃত্বের ভুলে আজ আবার দেশ ও জনগণ সর্বনাশের সম্মুখীন হতে যা”েছ। আমরা যারা আওয়ামী লীগের শুভাকাক্সক্ষী, আমাদের সম্ভবত রবীন্দ্রনাথের একটি গানের কলি আওড়ানো ছাড়া এখন আর কোন উপায় নেই।
‘আমার সকল নিয়ে বসে আছি সর্বনাশের আশায়।’
দেশের বর্তমান এই অব¯’ার জন্য সর্বাগ্রে দায়ী করতে হয় ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সরকারকেই। আর এই সরকারকে দায়ী করতে হলে দায়ী করতে হয় শেখ হাসিনাকেই। কারণ, দল এবং সরকার দুয়েরই তিনি এক”ছত্র নেত্রী। তার কথার বাইরে যাওয়ার ক্ষমতা কারও নেই। যাদের সে ক্ষমতা ছিল, তারা এখন দলে কোণঠাসা কিংবা দলছাড়া। তাদের বদলে দলে এবং সরকারে যারা ঘাঁটি গেড়ে বসেছে, তাদের অধিকাংশই অনেকের মতে, অযোগ্য ও অনভিজ্ঞ এবং ব্যারিস্টার রফিকুল হকের মতে বেকুব।
নির্বাচনে বিশাল বিজয় অতীতে জিন্নাহ ও হক সাহেবের মতো অনেক বড় মাপের নেতার মধ্যে যে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করেছে, সেই একই ধরনের বিভ্রান্তি এ যুগে শেখ হাসিনার মধ্যেও সৃষ্টি করেছে বলে আমার ধারণা। ১৯৪৬ সালে পাকিস্তান ইস্যুতে অবিভক্ত বাংলায় অনুষ্ঠিত নির্বাচনে (সারা ভারতেই নির্বাচন হয়েছে) মুসলিম লীগের বিশাল বিজয়, এমনকি ফজলুল হকের দলেরও ভরাডুবি ঘটানো মি. জিন্নাহর মাথায় সম্ভবত এই ধারণাই জš§ দিয়েছিল যে, তিনি অপ্রতিদ্বন্দ্বী, তিনি অপরাজেয়। তার ব্যক্তিগত ক্যারিশমাই নির্বাচন জয়ের মূল কারণ।
এই ইল্যুশন থেকে পাকিস্তানের গভর্নর জেনারেল হওয়ার পর তিনি নিয়মতান্ত্রিক রাজনীতির সব নিয়ম-কানুন ভঙ্গ করে ডিক্টেটরসুলভ মনোভাবের পরিচয় দিতে শুর“ করেন। পাকিস্তানের প্রথম মন্ত্রিসভায় তিনি ফজলুল হক, সোহরাওয়ার্দী প্রমুখ অভিজ্ঞ ও যোগ্য বাঙালি নেতাকে দেশ গঠনের কাজে না লাগিয়ে তাদের দূরে সরিয়ে রাখেন এবং সাবেক আমলা চৌধুরী মোহাম্মদ আলী, মোশতাক আহমদ খুরমানি, টাটা কোম্পানির প্রাক্তন কর্মচারী গোলাম মোহাম্মদ প্রমুখকে এনে মন্ত্রী বানান। পূর্ব ও পশ্চিম পাকিস্তান থেকে যে সব রাজনীতিককে লিয়াকত-মন্ত্রিসভায় গ্রহণ করা হয়, তাদের অধিকাংশই ছিলেন ব্যক্তিত্বহীন, জো হুজুরের দল। সিভিল ও মিলিটারি ব্যুরোক্র্যাসির ক্ষমতা দখলের চক্রান্ত মোকাবেলা করার ব্যাপারে এরা ছিল একেবারেই অদক্ষ ও অযোগ্য।
জিন্নাহর মৃত্যু ও লিয়াকত হত্যার পর এদের হাত থেকে ক্ষমতা ছিনিয়ে নিতে এই সিভিল মিলিটারি ব্যুরোক্র্যাসির তিন বছর সময়ও লাগেনি। এই রাজনীতিকরা খুব দ্র“ত মিলিটারির শাসকদেরও আজ্ঞাবহ হয়েছে। জিন্নাহ জীবিত থাকতেই দেখে গেছেন, যে বাঙালিরা ১৯৪৬ সালে তার মনোনীত ‘কলাগাছকেও’ ভোট দিতে দ্বিধা করেনি; তিন বছর না যেতেই সেই বাঙালিরা রাষ্ট্রভাষা সংক্রান্ত তার হুকুমের বির“দ্ধে গর্জে উঠেছে। জিন্নাহ আর কয়েকটি বছর বেঁচে থাকলে বাংলাদেশে তার দলের পতন এবং হক সাহেবের অভ্যুত্থান দেখে যেতেন।
১৯৫৪ সালের প্রাদেশিক নির্বাচনে বিশাল জয় শেরেবাংলার মতো নেতাকেও বিভ্রান্ত করেছে। তিনি পরাজিত শত্র“র ক্ষমতা ও চক্রান্তের শক্তিকে খাটো করে দেখেছেন। ভেবেছেন, তিনি তার বিশাল ব্যক্তিত্বের ক্যারিশমা দিয়েই যুক্তফ্রন্টের নামে তার নিজের দল কৃষক শ্রমিক পার্টিকে ক্ষমতায় টিকিয়ে রাখতে পারবেন। তিনি তার শরিক দলগুলোÑ বিশেষ করে যুক্তফ্রন্টের বৃহত্তম শরিক আওয়ামী লীগকে প্রথমে উপেক্ষা করে নিজের পেটোয়া ব্যক্তিদের দ্বারা একটি পকেট মন্ত্রিসভা গঠন করেন। এই পকেট মন্ত্রিসভাই যুক্তফ্রন্টে অনৈক্য ও শত্র“ শিবিরে উৎসাহের সূত্রপাত ঘটায়।
১৯৫৪ সালে যুক্তফ্রন্ট নির্বাচন-বিজয়ী হয়ে ক্ষমতায় বসার পরই আদমজী জুট মিল ও চন্দ্রঘোনা পেপার মিলে যে রক্তক্ষয়ী ভয়াবহ দাঙ্গা বাধানো হয়, তার উদ্দেশ্যের সঙ্গে ২০০৯ সালে স্বাধীন বাংলাদেশে আওয়ামী লীগ বা মহাজোট নির্বাচনে জয়ী হয়ে ক্ষমতায় বসার সঙ্গে সঙ্গেই যে বহু জীবনঘাতী বিডিআর বিদ্রোহ ঘটানো হয় তার উদ্দেশ্যের কোন পার্থক্য নেই। এ সময় বাংলাদেশ একটি প্রদেশ হিসেবে থাকলে এবং শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রীর বদলে মুখ্যমন্ত্রী থাকলে ওই বিডিআর বিদ্রোহকে অজুহাত হিসেবে দেখিয়ে কেন্দ্রীয় সরকার তাকে বরখাস্ত করত। বাংলাদেশের স্বাধীন স্ট্যাটাস শেখ হাসিনাকে রক্ষা করেছে।
আমার ধারণা, নির্বাচনে বিশাল বিজয়ই শেরেবাংলার মতো শেখ হাসিনাকে এই ধারণা দিয়েছে যে, তিনি তার শত্র“পক্ষকে সম্পূর্ণ কুপোকাত করেছেন। তার জনপ্রিয়তা এবং নেতৃত্বের ক্যারিশমাই তাকে ক্ষমতায় রাখবে এবং একটি পকেট মন্ত্রিসভা দ্বারাই তিনি অসম্ভব শক্তিশালী দেশী-বিদেশী চক্রান্ত ব্যর্থ করতে পারবেন এবং দেশের সব সমস্যার মোকাবেলা করে জনপ্রিয়তা ধরে রাখতে পারবেন। সাড়ে তিন বছর ক্ষমতায় থাকার পর তিনি আজ তার এই ধারণাটি যে ভুল, তা বুঝতে পারছেন কিনা তা আমি জানি না। অনেক সাফল্য থাকা সত্ত্বেও তার সরকার আজ একটি ব্যর্থ সরকার হিসেবে পরিচিত হতে চলেছে।
বিডিআর বিদ্রোহের পরই শেখ হাসিনার উপলব্ধি করা উচিত ছিল, কেবল নির্বাচন-বিজয় তার সরকারের রক্ষাকবচ নয়। দেশ এবং গণতন্ত্র রক্ষায় তাকে বহু ফ্রন্টে অসমযুদ্ধে লিপ্ত হতে হবে। তা মোকাবেলা করার মতো দক্ষ মন্ত্রিসভা চাই। তিনি দক্ষতা ও অভিজ্ঞতার বদলে অদক্ষতা ও আনুগত্যকে বেশি গুর“ত্ব দিয়ে মন্ত্রিসভা গঠন করেছেন এবং এখন তার ফল ভোগ করছেন। নির্বাচিত মন্ত্রীদের মাথায় তিনি আবার অনির্বাচিত উপদেষ্টাদের বসিয়ে দিয়েছেন। তা শুধু অসাংবিধানিক ও অগণতান্ত্রিক ব্যব¯’া নয়, একটি ব্যর্থ দ্বৈত শাসন বলেও প্রমাণিত হয়েছে।
সরকার যেমন অদক্ষ ও দুর্বল, তেমনি বর্তমানের আওয়ামী লীগও। দলের সাংগঠনিক কাঠামো বলতে এখন কিছু নেই এবং এত দুর্বল নেতৃত্বও আওয়ামী লীগের সুদীর্ঘ অর্ধশতাব্দীর বেশি সময়ের জীবনে দেখা যায়নি। দল এবং সরকারের সব ক্ষমতা নিজের হাতে কেন্দ্রীভূত করে শেখ হাসিনা প্রমাণ করেছেন, সরকার ও দলের বর্তমান সব দুর্বলতার জন্যও তিনিই দায়ী। তিনি নিজেকে দল ও সরকারের শক্তির উৎস থেকে দুর্বলতার উৎসেও পরিণত করেছেন। আর দেড় বছরও বাকি নেই। তিনি যদি এ সময়ের মধ্যে নিজেকে সংশোধন করে আবার দল ও সরকারের শক্তির উৎস হয়ে উঠতে না পারেন, তাহলে শুধু এই দল ও সরকারের নয়, দেশের গণতান্ত্রিক ভবিষ্যৎও অনিশ্চিত। (সমাপ্ত)
লন্ডন, ৩ জুন, রোববার ২০১২
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন