রবিবার, ১৩ মে, ২০১২

বাংলাদেশে প্রণব বাবুর প্রমোদভ্রমণ (?)






আবদুল গাফ্ফার চৌধুরী
আমাদের সর্বজনীন প্রণব দাদা সম্প্রতি বাংলাদেশ সফরে এসেছিলেন। তিনি অবশ্য রবীন্দ্রসঙ্গীত শুনতে এসেছিলেন। রবীন্দ্রনাথের সার্ধজš§শত বার্ষিকীর সমাপ্তি অনুষ্ঠান ছিল ঢাকায়। এই অনুষ্ঠানে রবীন্দ্রসঙ্গীত শুনে খুশি হয়েই কিনা জানি না, তিনি বাংলাদেশকে কিছু বকশিশ দেয়ার ঘোষণা দিয়ে গেছেন। এই বকশিশটা হল, প্রণব বাবুর পূর্ব ঘোষিত ভারত কর্তৃক বাংলাদেশকে দেয়া ১০০ কোটি ডলারের ঋণ চুক্তিতে বড় রকমের ছাড় দেয়া। তাতে বাংলাদেশের মিডিয়ায় ধন্য ধন্য রব ওঠা উচিত ছিল। তা ওঠেনি। কেউ কেউ বলেছেন, আগে প্রতিশ্র“তিটা পালিত হোক। না আঁচালে বিশ্বাস নেই।
প্রণব মুখার্জি ভারতের অর্থমন্ত্রী হলেও বাংলাদেশের মানুষের কাছে ’৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের সময় থেকে বিশেষভাবে পরিচিত। তখন তিনি যুবক ছিলেন। তবু মুক্তিযুদ্ধের অনেক তর“ণ নেতার কাছে দাদা ছিলেন। সেই তর“ণরা এখন প্রবীণ হয়েছেন। প্রণব বাবু হয়েছেন আরও প্রবীণ। তাই বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের নেতৃত্বদানকারী দলটির অধিকাংশ নেতার কাছেই তিনি প্রণব দা। আরও অনেকের কাছে তিনি সর্বজনীনভাবে প্রণব দাদা হয়ে উঠেছেন। অধুনা এই দাদাগিরি মাঝে মাঝেই বাংলাদেশের ওপর ফলান। বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে কোন সমস্যা দেখা দিলেই তিনি ঢাকায় ছুটে আসেন। তার ঝুড়িতে থাকে প্রতিশ্র“তির অষ্টরম্ভা। সেই রম্ভা দেখিয়ে তিনি বাংলাদেশকে শান্ত করেন। দিল্লি স্বার্থ রক্ষা করেন। এবারও তাই করেছেন কিনা তা আগামী কয়েক মাসের মধ্যেই বোঝা যাবে। তিনি বাংলার বন্ধু নামে পরিচিত। আসলে কি তাই?
প্রণব বাবুর সঙ্গে (মুক্তিযুদ্ধকালে ও ’৭৫ সালে তার ভূমিকার জন্য) হাসিনা-পরিবার ও আওয়ামী লীগ নেতাদের একটা বিশেষ সম্পর্ক আছে। সে সম্পর্কের জোরে তিনি অনেক সময় এমন সব কাজ করেন, যা তার কূটনৈতিক এখতিয়ারের বাইরে। সদ্য অতীতে একবার তিনি ঢাকায় এসে শেখ হাসিনার না-পছন্দের চার কি তিনজন প্রবীণ আওয়ামী লীগ নেতার সঙ্গে (যারা মন্ত্রিসভায় ¯’ান পাননি) ঢাকার ভারতীয় দূতাবাসে বৈঠক করেন। যেমন এবার করেছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিলারি ক্লিনটন ঢাকায় এসে দুটি উন্নয়ন সং¯’ার দু’জন প্রধানের সঙ্গে ঢাকায় মার্কিন দূতাবাসে তাদের ডেকে এনে। দু’প্রধানই আমেরিকা ও ব্রিটেন দ্বারা বিরাটভাবে পুরস্কৃত। প্রণব বাবু ঢাকায় এসে আওয়ামী লীগের যে ক’জন প্রবীণ নেতার সঙ্গে বৈঠক করেছেন, তারাও তাকে দাদা ডাকেন। এই ভাইপোদের সঙ্গে দাদার কী কথাবার্তা হয়েছে, তা সঠিকভাবে জানা যায়নি। শেখ হাসিনাও এই বৈঠকের কথা আগে কি জানতেন, না তাকে পরে জানানো হয়েছে? আমার সন্দেহ আছে। 
প্রণব বাবু বাংলাদেশের অনেক রাজনীতিকের কাছে দাদা হলেও তিনি তখনও ভারতের একজন মন্ত্রী। তিনি ঢাকায় এলে একজন বিদেশি মন্ত্রীর কূটনৈতিক শিষ্টাচার মেনে চলতে হবে। এটা ওয়াশিংটনে মেনে চলে না, দিল্লিও নয়। প্রণব বাবু সেবার ঢাকায় এসে আওয়ামী লীগের একদল অসš‘ষ্ট নেতার সঙ্গে আলাদাভাবে কথা বলবেন কিনা সে সম্পর্কে শেখ হাসিনার সম্মতি চেয়েছিলেন কি? না, দাদাগিরির জোর দেখিয়েছেন আমি তা জানি না।
ঢাকায় এসে প্রণব বাবুর এই দেখা-সাক্ষাৎ সম্পর্কে কলকাতার কাগজে এক সাংবাদিক তখন লিখেছিলেন, ‘প্রণব বাবু ভারতের মন্ত্রী হিসেবে নয়, বাংলাদেশেরÑ বিশেষ করে আওয়ামী লীগের একজন পুরনো বন্ধু ও শুভাকাক্সক্ষী হিসেবে আওয়ামী লীগের অসš‘ষ্ট নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। তিনি সম্ভবত শেখ হাসিনার সঙ্গে তাদের দূরত্ব কমাতে চেয়েছেন।’ কলকাতার সাংবাদিকের এই যুক্তিটা মেনে নেয়া যেত। এটা সত্য, সেই একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধের সময় থেকে মুক্তিযুদ্ধে সাহায্যদাতা ভারতের বিশেষ করে কংগ্রেস দলের সঙ্গে আওয়ামী লীগের মধ্যে একটা বিশেষ সম্পর্ক স্বাভাবিকভাবেই গড়ে উঠেছিল। 
কিš‘ কথা হল, সেই সম্পর্কটি কি এখনও আছে? থাকলে প্রণব বাবু এবার ঢাকা সফরে এসে বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়ার সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে গিয়ে কী করে বলেন, তারা বাংলাদেশের কোন দলের বন্ধু নন। হঠাৎ প্রণব বাবুর এই ভোল ও বুলি পাল্টাল কেন? তাহলে তিনি কি বুঝতে পেরেছেন, বাংলাদেশে আওয়ামী লীগের দিনকাল ভালো নয়? আর এই বুঝ থেকেই সম্পর্কের লগিটা আগেই বদলানোর চেষ্টা করছেন? পশ্চিমবঙ্গের গত রাজ্য নির্বাচনের সময় কলকাতার একটি পত্রিকা লিখেছিল, ‘ভোল পাল্টানোর ব্যাপারে বুড়ো প্রণবের কোন জুড়ি নেই, এ কথা এখন সিপিএম তথা বামফ্রন্ট জানে। মমতাও জানেন।’
পশ্চিমবঙ্গে যখন বামফ্রন্টের রাজত্ব, তখন প্রণব বাবুকে দিল্লি রাজ্য কংগ্রেসের সভাপতি পদে বসিয়ে রেখেছিল। তাতে পশ্চিমবঙ্গে কংগ্রেসের লুপ্ত প্রভাব-প্রতিপত্তি এক কণা ফিরিয়ে আনা যায়নি। কিš‘ বামফ্রন্টের সঙ্গে কংগ্রেসের মৈত্রী বজায় রাখার স্বার্থে দিল্লির শাসক কংগ্রেস প্রণব বাবুকে ব্যবহার করেছে। প্রণব বাবু তখন বামফ্রন্টের ঘোর সমর্থক এবং মমতা ও তৃণমূলের ঘোর বিরোধী। প্রণব বাবু নির্বাচনে জেতেন না। কিš‘ গত সাধারণ নির্বাচনে বামফ্রন্টের সৌজন্যে কংগ্রেসের টিকিটে নির্বাচনে জেতেন এবং মন্ত্রী হন। সেবার তার প্রধানমন্ত্রী হওয়ার কথা ছিল। কিš‘ দিল্লির অবাঙালি শাসক কোটারি একজন বাঙালি, যিনি কংগ্রেসের সবচেয়ে প্রবীণ নেতা তাকে এতকাল শুধু ব্যবহার করেছে, কিš‘ ক্ষমতায় বসাতে চায়নি। তাই তাকে পররাষ্ট্রমন্ত্রী করে তার মাথার ওপরে এককালে তারই অধীন¯’ এক সাবেক ব্যুরোক্রেট মনমোহন সিংকে প্রধানমন্ত্রী পদে বসিয়ে দেয়া হয়েছিল। তার প্রতিবাদ করার ব্যক্তিত্ব আমাদের প্রণব দাদার ছিল না।
এখন শোনা যা”েছ, ভারতের রাষ্ট্রপতি পদে মিসেস প্রতিভা পাতিলের মেয়াদ শেষ হলে প্রণব বাবুকে ওই পদে বসানো হবে। এটা হবে তার জন্য সান্ত্বনা পুরস্কার। তাকে ক্ষমতাধর প্রধানমন্ত্রী পদে না বসিয়ে ক্ষমতাহীন রাষ্ট্রপতি পদে কিক আপ করা হবে। এক ভারতীয় সাংবাদিকের মতে, এটা হবে ভারতের রাষ্ট্রপতি পদে জেন্ডার পরিবর্তন মাত্র।
প্রণব দাদার আগের কথায় ফিরে যাই। পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য কংগ্রেসের সভাপতি থাকাকালেও প্রণব বাবু পশ্চিমবঙ্গের স্বার্থ দেখেননি। দেখেছেন দিল্লির স্বার্থ। ফলে রাজ্য ও রাজ্য-রাজনীতিতে তার প্রভাব খুবই ক্ষীণ। তিনি সুবিধাবাদী। যখনই দেখেছেন পশ্চিমবঙ্গে বামফ্রন্টের রসাতলগামী দশা এবং দিল্লি মমতা ও তৃণমূলের সঙ্গে মিতালি পাতাতে আগ্রহী, অমনি তিনি বামফ্রন্টবিরোধী এবং মমতাবান্ধব হয়ে ওঠেন। মমতার কাছ থেকে তার এই ভোল পাল্টানোর একটা দামও তিনি আদায় করেছেন।
আগে বামফ্রন্টের সমর্থন ও সাহায্যে তিনি কেন্দ্রে নির্বাচিত হয়েছেন। গত রাজ্য নির্বাচনে মমতার সাহায্য ও সমর্থনে তার পুত্রকে রাজ্য বিধানসভায় বিধায়ক নির্বাচিত করে এনেছেন। প্রতিদানে মমতা ব্যানার্জি হয়তো ভেবেছিলেন, কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী হিসেবে এবং নিজে একজন বাঙালি হিসেবে প্রণব বাবু দিল্লির কেন্দ্রীয় সরকারের কাছ থেকে অবহেলিত পশ্চিমবঙ্গের ন্যায়সঙ্গত আর্থিক দাবি-দাওয়া আদায়ে সাহায্য জোগাবেন। এখন দেখা যা”েছ, সে আশায় গুড়ে বালি। পশ্চিমবঙ্গের স্বার্থের চেয়ে দিল্লির সেবা করা ও স্বার্থরক্ষাই প্রণব বাবুর ধ্যান-জ্ঞান। তার নাকের ডগায় রাষ্ট্রপতির পদটি মুলোর মতো ঝোলানো রয়েছে। স্বাভাবিকভাবেই মমতা-প্রণব বিরোধও এখন ধীরে ধীরে জমে উঠেছে।
সম্প্রতি বাংলাদেশে এসে প্রণব বাবু যে বলেছেন, ‘তারা বাংলাদেশের কোন দলের বন্ধু নন’ এ কথাটা বাতকে বাত বা বাংলাদেশের বিরোধী দলকে খুশি করার জন্য একটি কূটনৈতিক চাল, তা ভাবলে ভুল করা হবে। এটা চালিয়াতি নয়, ভোল পাল্টানোর সূচনা বলে অনেকের সন্দেহ। এমনকি কলকাতার কোন কোন সাংবাদিকেরও এই ধারণা। তাদের কথা হল, রাষ্ট্র হিসেবে অবশ্যই ভারত তার প্রতিবেশী বাংলাদেশের কোন বিশেষ দলের বন্ধু হবে না। হবে যে দলই ক্ষমতায় আসুক, তাদের বন্ধু। কিš‘ তাই বলে একই আদর্শে বিশ্বাসী দুই দেশের দুটি দলের মধ্যে স্পেশাল রিলেশন্স বা বিশেষ সম্পর্ক কি গড়ে উঠতে পারে না? দীর্ঘকাল ধরে ব্রিটেনের কনজারভেটিভ পার্টি ও আমেরিকার রিপাবলিকান পার্টির মধ্যে কি বিশেষ সম্পর্ক ছিল না? যে জন্য প্রেসিডেন্ট পদে ডেমোক্র্যাট দলের প্রার্থী ক্লিনটনকে হারানোর জন্য ব্রিটেনের তখনকার কনজারভেটিভ প্রধানমন্ত্রী জন মেজর সাহায্য জুগিয়েছিলেন।
বাংলাদেশ ও ভারতেও আওয়ামী লীগ ও কংগ্রেসের মধ্যে একটা বিশেষ সম্পর্ক ছিল, এখনও থাকা উচিত। এই সম্পর্কের ভিত্তি দুই দলের একই আদর্শÑ গণতন্ত্র এবং ধর্মনিরপেক্ষতা। বিএনপি এই আদর্শে বিশ্বাসী নয়। প্রণব বাবু এই দুই দলের মধ্যে কী করে ইকুয়েশন টানেন? বাংলাদেশে বিএনপি ক্ষমতায় এলে আন্তর্জাতিক নিয়ম-কানুন অনুযায়ী অবশ্যই ভারত সেই সরকারকে সহযোগিতা দেবে। তাই বলে তারা আওয়ামী লীগের সঙ্গে আদর্শিক বিশেষ সম্পর্কের কথা অস্বীকার করবে? কই, এই বিশেষ সম্পর্কের কথা ব্রিটেনের কনজারভেটিভ পার্টি ও আমেরিকার রিপাবলিকান পার্টি কিংবা আমেরিকার ডেমোক্র্যাট পার্টি ও ব্রিটেনের লেবার পার্টি তো এখনও অস্বীকার করে না। যদিও এ সম্পর্ক এখন আগের মতো নেই।
আসলে ভারতের শাসক দল হিসেবে কংগ্রেসেরও চরিত্রের পরিবর্তন হয়েছে। নেহের“ ও ইন্দিরার কংগ্রেস আর নেই। সোনিয়া-মনমোহনের কংগ্রেস মার্কিন সাম্রাজ্যবাদের বন্ধু, গণতন্ত্র ও সেক্যুলারিজমে তাদের আ¯’া কম। এশিয়ায় গণতান্ত্রিক ও ধর্মনিরপেক্ষ রাজনৈতিক দল ও দেশগুলোর প্রতিও তাদের সমর্থন ও সহযোগিতা এখন অতীতের বিষয়। সে জন্যই মিয়ানমারে চীনের প্রভাব বিস্তার রোধের জন্য দিল্লি সে দেশের গণতান্ত্রিক আন্দোলনে সমর্থন প্রত্যাহার করে দৌড়ে গিয়ে সামরিক জান্তার বন্ধু হতে পেরেছে। ভারতের রাজনীতিও এখন বিগ বিজনেসের কব্জায়। তাদের স্বার্থে বাংলাদেশেও গণতন্ত্র ও ধর্মনিরপেক্ষতাবিরোধী রাজনৈতিক শক্তির প্রতি সমর্থন দানে দিল্লির কংগ্রেস সরকার যে দ্বিধা করছে না, প্রণব বাবুর ঢাকা-উক্তি তারই আভাস দেয়। এটা বাতকে বাত বলে উড়িয়ে দেয়া যায় না।
বাংলাদেশে হাসিনা সরকার ক্ষমতায় এসেছে আজ তিন বছরের বেশি হয়ে গেছে। এই তিন বছর গণতন্ত্রবিরোধী শক্তিশালী চক্রগুলোর বির“দ্ধে লড়াই করে অস্তিত্ব রক্ষার জন্য এ সরকারকে কী প্রাণান্ত চেষ্টা করতে হ”েছ, তা কি প্রণব বাবুরা জানেন না? সেই বিডিআর বিদ্রোহ থেকে সাম্প্রতিক ইলিয়াস আলী অপহরণ পর্যন্ত একটার পর একটা ষড়যন্ত্র দ্বারা সারাদেশে অ¯ি’র অব¯’া সৃষ্টি করা হয়েছে। উদ্দেশ্য, বর্তমান সরকারকে উৎখাত করা, যুদ্ধাপরাধীদের বিচার বানচাল করা, গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া বন্ধ করা। এ সত্যটি প্রণব বাবুরা জানেন না? তারা চতুর্দিক থেকে চক্রান্তবেষ্টিত বাংলাদেশের গণতন্ত্র ও গণতান্ত্রিক সরকারকে রক্ষায় সাহায্যদানের পরিবর্তে গঙ্গার পানি, তিস্তার পানি, টিপাইমুখ বাঁধ, সীমান্তে অব্যাহত হত্যাকাণ্ড, ভারতীয় ভিসা প্রদানে বাংলাদেশীদের অহেতুক হয়রানি ইত্যাদি নানা সমস্যা জিইয়ে রেখে মুখে মৈত্রী ও সহযোগিতার লম্বা লম্বা বুলি আওড়া”েছন। মৈত্রীর আড়ালে তাদের আধিপত্যবাদী ভূমিকাটিই প্রধান। আর সেই ভূমিকা সফল করার জন্য প্রণব বাবু বার বার বাংলাদেশে আসেন। বাংলাদেশের বন্ধু সেজে আসেন।
এবারও তিনি দিল্লির উদ্দেশ্য পূর্ণ করতেই এসেছিলেন। সেই সঙ্গে সঙ্গীত-শ্রবণ ও প্রমোদভ্রমণ। ১০০ কোটি ডলার ঋণ চুক্তিতে তিনি যে বড় ছাড় দেয়ার ঘোষণা দিয়েছেন, তা এখনও প্রতিশ্র“তি। বাস্তবায়ন কবে হবে তা আমাদের জানা নেই। তিস্তার পানি, টিপাইমুখ বাঁধ নিয়ে তিনি যেসব কথা বলেছেন, তা অতীতের অসার প্রতিশ্র“তির পুনরাবৃত্তি। আর ১০০ কোটি ডলারের ঋণ চুক্তিতে তিনি যে বড় ছাড় দেয়ার 
ঘোষণা দিয়েছেন, তা কতটা আসল এবং কতটা শুভঙ্করের ফাঁকি, তা নিয়ে অদূর ভবিষ্যতে একটি আলাদা নিবন্ধে আলোচনার আশা রাখি।
লন্ডন, ১৩ মে রবিবার ।। ২০১২

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন