আবদুল গাফ্ফার চৌধুরী
কোনো দেশে গণতন্ত্র টিকবে কি টিকবে না, তা নির্ভর করে গণতান্ত্রিক নেতৃত্বের সবলতা ও দুর্বলতার উপর। গণতান্ত্রিক নেতৃত্ব দুর্বল ও নতজানু হলে সেই গণতন্ত্রের বিপর্যয় অবশ্যম্ভাবী। প্রথম মহাযুদ্ধের পর জার্মানীতে যে হিন্ডেনবার্গ সরকার এবং ইতালিতে যে ইমানুয়েল সরকার ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত ছিলো, তা ছিলো অত্যন্ত দুর্বল গণতান্ত্রিক সরকার। হিটলারের নাতসি পার্টি এবং মুসোলিনীর ফ্যাসিস্ট পার্টি তাই অতি সহজেই এই দুই সরকারের হাত থেকে ক্ষমতা কেড়ে নিয়ে দু’টি দেশেই গণতন্ত্রের উচ্ছেদ ঘটাতে পেরেছিলো।
স্বাধীনতা উত্তর ভারতে যে দীর্ঘকাল ধরে গণতন্ত্র টিকতে পেরেছে এবং এখনো নাজুকভাবে টিকে আছে, তার কারণ, কংগ্রেস দলের শতাব্দিকালের দৃঢ় গণতান্ত্রিক রাজনীতির ঐতিহ্য এবং স্বাধীন ভারতে নেহেরুর নেতৃত্বে শক্তিশালী গণতান্ত্রিক সরকারের দীর্ঘকাল ক্ষমতায় অবস্থান। অন্যদিকে পাকিস্তানের মুসলিম লীগ ভারত ভাগ হওয়ার আগে থেকেই একটি গণতান্ত্রিক চরিত্রের রাজনৈতিক দল ছিলো না। মোহাম্মদ আলী জিন্নার একক ইচ্ছায় ও অঙ্গুলি হেলনে দলটি চালিত হতো। পাকিস্তান প্রতিষ্ঠার পরও জিন্না নিজে দেশটির গভর্নর জেনারেল হন এবং রাজনীতিকদের বদলে বুরোক্রাটদের দেশের প্রথম সরকারে গুরুত্বপূর্ণ পদ দখল করতে দেন। ফলে পরবর্তীকালে সাবেক সিভিল বুরোক্রাট গোলাম মোহাম্মদ এবং চৌধুরী মোহাম্মদ আলীর নেতৃত্বে সিভিল বুরোক্রাসি পাকিস্তানের ক্ষমতা দখল করে। তারপর আইয়ুব ও ইসকান্দার মির্জার নেতৃত্বে মিলিটারি বুরোক্রাসি এসে ক্ষমতার সিংহভাগ দখল করে। পাকিস্তান থেকে গণতন্ত্রকে নির্বাসন যাত্রা করতে হয়।
ভারতে যতোকাল কংগ্রেস একটি সবল এবং শক্তিশালী সর্বভারতীয় দল ছিলো এবং নেহেরু ও ইন্দিরা সেই দলের ব্যক্তিত্বশালী নেতা ছিলেন, ততোদিন ভারতীয় গণতন্ত্রের বিপন্ন হওয়ার কারণ ঘটেনি। গণতন্ত্র আঞ্চলিকতার ভিত্তিতে ভাগ ভাগ হয়ে যায়নি। বরং একটি কেন্দ্রীয় ও অবিভাজ্য শক্তি হিসেবে ভারতকে বেষ্টন করে রেখেছিলো। নেহেরু তার দলের মধ্যে সর্বেসর্বা হয়ে উঠলেও প্লুরালিস্টিক রাজনীতির পথ বর্জন করেননি, বরং কেরলের মতো অঙ্গরাজ্যে কম্যুনিস্টদেরও নির্বাচনে জিতে ক্ষমতায় বসতে দিয়েছেন। পরবর্তীকালে ইন্দিরা যেমন দিয়েছেন পশ্চিমবঙ্গে। বিশ্বের ইতিহাসে নির্বাচনের মাধ্যমে কম্যুনিস্টদের ক্ষমতায় বসা ভারতেই প্রথম।
আধুনিক ভারত গঠনে নেহেরু চীনের চিয়াংকাইশেকের মতো পূর্ণ ধনবাদের (full capitalism) পথে এগোননি। তিনি সমাজতন্ত্রী ধাঁচের মিশ্র অর্থনীতির (mixed economy) পথ গ্রহণ করেন। ফলে দীর্ঘকাল ভারতের অর্থনীতিকে প্রাইভেট সেক্টর পাবলিক সেক্টরকে হটিয়ে সর্বেসর্বা হয়ে ওঠেনি। টাটা-বিড়লা, ডালমিয়ারা দেশের অর্থনীতির উপর পূর্ণ কর্তৃত্ব স্থাপন করে রাজনৈতিক পূর্ণ কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠাতেও এগিয়ে যেতে পারেনি।
ভারতীয় গণতন্ত্র যাতে প্রতিক্রিয়াশীল ডানপন্থী রাজনীতির চোরাবালিতে ডুবে না যায়, সেজন্যে নেহেরু প্রধানমন্ত্রী হিসেবে গান্ধী-হত্যার পর পরই গোঁড়া সাম্প্রদায়িক দল হিন্দু মহাসভাকে নিষিদ্ধ করেন এবং পরে সিপিআই বা ভারতের কম্যুনিস্ট পার্টিকে কংগ্রেস সরকারের রাজনৈতিক সহযোগী হিসেবে গ্রহণ করেন। কংগ্রেস-সিপিআই মৈত্রী ইন্দিরা গান্ধীর আমল পর্যন্ত বজায় ছিলো। পুরনো ঔপনিবেশিক শক্তি এবং নব্য সাম্রাজ্যবাদীদের চক্রান্ত থেকে নতুন ভারতীয় গণতন্ত্রকে রক্ষার জন্য দেশরক্ষা নীতির ক্ষেত্রে নেহেরু সবচাইতে দূরদর্শী নীতি গ্রহণ করেছিলেন। তিনি প্রচণ্ডভাবে সাম্রাজ্যবাদ-বিরোধী কৃষ্ণমেননকে এনে দেশরক্ষা মন্ত্রীপদে বসিয়েছিলেন এবং পশ্চিমা দেশগুলোর চাইতেও সোভিয়েট ইউনিয়নের কাছ থেকে সমরাস্ত্র কেনার উপর জোর দিয়েছিলেন। তিনি ভারতের সেনাবাহিনীতে সামরিক সহযোগিতার নামে আমেরিকান প্রভাবের অনুপ্রবেশ ঘটুক তা চাননি।
আমেরিকা এখন সদ্য স্বাধীন এশিয়ান ও আফ্রিকান দেশগুলোতে-বিশেষ করে দেশগুলোর সামরিক বাহিনীতে অস্ত্র সাহায্য, প্রশিক্ষণ ট্রেনিং দেওয়া ইত্যাদির নামে অনুপ্রবেশের নীতি গ্রহণ করেছে এবং গোপনে কোনো সামরিক অথবা অসামরিক নেতাকে লৌহমানব (iron man) হিসেবে সাজাচ্ছে। এই লৌহ মানবদের কাজ ছিলো, সময় ও সুযোগমতো গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার বিরুদ্ধে দুর্নীতি, অযোগ্যতা, অপশাসন ইত্যাদির অভিযোগ তুলে তার পতন ঘটানো এবং বন্দুকের সাহায্যে ক্ষমতা দখল করে স্বৈরাচারী শাসন প্রতিষ্ঠা করা। মার্কিন এডমিনিষ্ট্রেশন এবং পত্র-পত্রিকা তখন তাকে লৌহমানব, দেশটির ত্রাণকর্তা ইত্যাদি নানা খেতাবে ভূষিত করতো। আমেরিকা তখন সিংম্যানরী থেকে আইয়ুব খাঁ পর্যন্ত অসংখ্য লৌহমানব সৃষ্টি করেছিলো।
নেহেরু এই সত্যটি জানতেন। তাই ভারতের দেশরক্ষা ব্যবস্থা ও সামরিক বাহিনীকে অত্যন্ত সতর্কতার সঙ্গে মার্কিন প্রভাব থেকে দূরে রেখেছেন। তিনি আমেরিকার কাছ থেকে উন্নত অস্ত্রশস্ত্র ক্রয় করেছেন। কিন্তু তা ব্যালেন্স করেছেন বেশি করে সোভিয়েট অস্ত্রশস্ত্র ক্রয় করে। সামরিক বাহিনীর প্রশিক্ষণের ক্ষেত্রেও তিনি সাবেক সোভিয়েট ইউনিয়নের সহায়তা বেশি গ্রহণ করেছেন। চীনের সঙ্গে যুদ্ধে পর্যুদস্ত হয়েও তিনি মার্কিন সামরিক রক্ষা ব্যবস্থা বলয়ে ঢুকতে চাননি। নেহেরুর দেশরক্ষা নীতি ও পররাষ্ট্রনীতি ছিলো পরস্পরের পরিপূরক। তিনি জোট নিরপেক্ষ স্বাধীন পররাষ্ট্র নীতি গ্রহণ করেন এবং মিসরের জামাল নাসের, যুগোস্লাভিয়ার মার্শাল টিটো এবং ইন্দোনেশিয়ার সুকর্নের সঙ্গে মিলিত হয়ে ন্যাম বা জোটনিরপেক্ষ আন্দোলন গড়ে তোলেন। এই আন্দোলন পঞ্চাশের দশকে দেশে দেশে মার্কিন তাবেদার লৌহ মানবদের অভ্যুত্থানের পথে অনেকটাই বাধা সৃষ্টি করেছিলো। ন্যাম এক সময় এশিয়া ও আফ্রিকায় সদ্য স্বাধীন দেশগুলো গণতন্ত্রের জন্য একটা রক্ষাব্যুহ হয়ে দাঁড়িয়েছিল।
নেহেরুর পর তার কন্যা ইন্দিরা গান্ধী পরিবর্তিত বিশ্বপরিস্থিতিতেও পিতার পররাষ্ট্র ও দেশরক্ষা নীতি থেকে সরে দাঁড়ায়নি। বরং কিউবার ক্যাস্ট্রো ও মিসরের সাদাত, আলজেরিয়ার বুমেদীন ও বাংলাদেশের শেখ মুজিবের সঙ্গে হাত মিলিয়ে ন্যামকে শক্তিশালী সংস্থা হিসেবে রাখার চেষ্টা করেন। ইন্দিরা গান্ধীর মধ্যে ‘একনায়কসুলভ’ মনোভাব ছিলো। তা সত্ত্বেও তিনি ভারতীয় গণতন্ত্রের প্লুরালিস্টিক চরিত্র ধ্বংস করেননি। তিনি পিতার মতো ভারতীয় গণতন্ত্রের জনবিচ্যুতি ঠেকাবার জন্য বাম সহযোগিতা ধরে রেখেছেন এবং টাটা বিড়লার পর নতুন ব্রান্ডের আরো শক্তিশালী পুঁজিপতি আম্বানি প্রমুখদের অর্থনীতি ও রাজনীতিতে একচ্ছত্র আধিপত্য বিস্তার করতে দেননি। তিনি নির্বাচনে হেরে গণরায় মেনে নিতে এবং ক্ষমতা হস্তান্তরে এক মুহূর্ত দেরি করেননি। বাংলাদেশের ‘সশিক্ষিত’ নেত্রী খালেদা জিয়ার মতো বলেননি, নির্বাচনে কারচুপি করে তার জয় ছিনিয়ে নেওয়া হয়েছে।
ইন্দিরা-হত্যা কেবল অমৃতসরের স্বর্ণ মন্দিরের (Golden temple) হত্যাকাণ্ডের প্রতিশোধ গ্রহণের জন্য শিখদের কর্মকাণ্ড বলে যারা ভাবেন, তারা আসলে প্রকৃত সত্যের দিকে নজর ফেরাতে চান না। এই হত্যা দেশি ও বিদেশি গণতন্ত্র-বিরোধী শক্তিশালী চক্রেরও অভিপ্রায় ছিলো। ইন্দিরা-হত্যা দ্বারা উপমহাদেশে গণতন্ত্রের শেষ রক্ষাব্যুহটিও ধ্বংস করা হয়। ইন্দিরার দৃঢ় প্রতিজ্ঞা ছিলো ভারত মহাসাগর-এলাকাকে তিনি জোন অব পীসে (শান্তির এলাকা) পরিণত করবেন। অর্থাত্ এশিয়াকে তিনি সাম্রাজ্যবাদী আধিপত্য বিস্তারের প্রতিযোগিতা ও স্নায়ুযুদ্ধ থেকে মুক্ত করবেন। তিনি এই প্রতিজ্ঞা পূরণ করার সময় পেলে শুধু এশিয়ার দেশগুলোর নয়, ভারতীয় গণতন্ত্রও সুরক্ষা পেতো। সুতরাং ইন্দিরা-হত্যায় অন্য কোন্ কোন্ চক্র জড়িত ছিলো তা জানার জন্য খুব একটা গবেষণার প্রয়োজন নেই। দেশি-বিদেশি অনেক রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকই এখন এই হত্যাকাণ্ডের অন্যান্য দিক সম্পর্কেও মুখ খুলছেন।
ইন্দিরা-হত্যার দীর্ঘকাল পর এখন একজন পশ্চিমা রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকই তার সাম্প্রতিক এশিয়া-বিষয়ক এক লেখায় স্বীকার করেছেন, ইন্দিরা-হত্যার পেছনে ভারতীয় রাজনীতি থেকে শক্তিশালী গণতান্ত্রিক নেতৃত্ব অপসারণের একটা চক্রান্তও ছিলো। ভারতের গণতান্ত্রিক রাজনীতিতে ইন্দিরা-হত্যার ফলে যে শূন্যতা সৃষ্টি হয়, তা তার পুত্র রাজীব গান্ধী পূরণ করতে পারেননি। সেটা তার পক্ষে সম্ভবও ছিলো না। নেহেরুর রাজনৈতিক পরিবারে জন্মগ্রহণ করলেও তিনি রাজনীতি-বিমুখ ছিলেন এবং রাজনীতিতে সংশ্লিষ্ট হওয়া তার আদৌ ইচ্ছা ছিলো না, রাজনৈতিক নেতৃত্বদানের ট্রেনিংও তার ছিলো না। তিনি পেশা হিসেবে বিমান চালনা বেছে নিয়েছিলেন এবং চরিত্রে ছিলেন টেকনোক্র্যাট।
বরং ইন্দিরার কনিষ্ঠ পুত্র সঞ্জয় গান্ধী বেঁচে থাকলে নেহেরু পরিবারের রাজনীতির উত্তরাধিকার হয়তো কিছুটা বহন করতে পারতেন। কিন্তু ভারতের গণশত্রুরা সে কথা জানতো বলেই ইন্দিরার আগেই তাকে হত্যা করা হয়। যে বিমান দুর্ঘটনায় তার মৃত্যু হয়, সেটিও অদৃশ্য হস্তের কারসাজির ফল বলে এখন অনেকেই প্রমাণ করার চেষ্টা করছেন। সঞ্জয়ের মৃত্যুর পরই ইন্দিরা বাধ্য হন তার পাইলট জ্যেষ্ঠ পুত্র অনিচ্ছুক রাজীব গান্ধীকে রাজনীতিতে টেনে আনতে।
ভারতীয় গণতন্ত্রের ফাটল শুরু হয় নেহেরু পরিবারের এই অরাজনৈতিক প্রধানমন্ত্রী রাজীব গান্ধীর আমলেই। এই সময়ে অত্যন্ত চতুরভাবে ভারতের বিগ বিজনেস এবং বিগ মিডিয়াগুলো তাকে মি. ক্লিন (Mr. clean) আখ্যা দিয়ে তার চাটুকারিতা শুরু করে। মার্কিন পত্র-পত্রিকাতেও তার প্রতিধ্বনি শোনা যায়। মার্কিন মিডিয়ায় বলা হয়, দুর্নীতি ও অযোগ্যতার জন্য ভারতের রাজনীতি ও রাজনীতিকরা দূষিত হয়ে পড়েছিলেন। সোভিয়েট ইউনিয়নের সঙ্গে অতি ঘনিষ্ঠতা এবং মৈত্রী চুক্তির ফলে ভারতের গণতন্ত্র শ্বাস ফেলতে পারছিলো না। যে কোনো সময় ভারতের কম্যুনিস্ট টেকওভার সংঘটিত হতে পারতো। ইতিমধ্যেই ভারতের দু’টি কি তিনটি প্রভিন্সে কম্যুনিস্টরা ক্ষমতা দখল করেছে। এই দারুণ সন্ধিক্ষণে রাজীব গান্ধীর দিল্লিতে ক্ষমতায় বসা ভারতের রাজনীতির জন্য একটি বড় সুসংবাদ। কেউ কেউ এমন কথাও বললেন, ভারতে অসুস্থ ও দুর্নীতিপূর্ণ ডেমোক্রেসির বদলে সুস্থ ও পরিচ্ছন্ন টেকনোক্রাসির যুগ শুরু হলো।
এর আগে দীর্ঘস্থায়ী ভারতীয় গণতন্ত্রের প্রশংসা করলেও মার্কিন পত্র-পত্রিকায় এই গণতন্ত্রের প্রচ্ছন্ন চরিত্র হননও শুরু হয়। তখন পশ্চিমা বুদ্ধিজীবীদের মধ্যে কম্যুনিস্ট বিরোধী ‘জেহাদের’ অন্যতম প্রধান নায়ক ছিলেন আর্থার কোয়েসলার। দি গড দ্যাট ফেইলড (পরাভূত দেবতা) নামক বহুল প্রচারিত বইয়ের তিনি লেখক। তিনি তার এক বইয়ের শেষ চ্যাপ্টারে কাল্পনিকভাবে দেখান, গোটা ভারত কম্যুনিস্ট দখলে চলে গেছে। ক্ষমতাচ্যুত নেহেরু শেষবারের মতো দিল্লির পার্লামেন্ট ভবন থেকে বেরিয়ে আসছেন। দেখেন তাকে বিদায় সংবর্ধনা জানানোর জন্য কেউ সেখানে উপস্থিত নেই। তার এতোদিনের অনুরাগীরাও অদৃশ্য হয়ে গেছেন। কেবল পার্লামেন্ট ভবনের গার্ডেনের বৃদ্ধ মালি, যে নেহেরুকে রোজ একটি লাল গোলাপ উপহার দিতো, সে আজও একটি লাল গোলাপ হাতে সাশ্রু নয়নে দাঁড়িয়ে আছে।
রাজীব গান্ধী বা মি. ক্লিন টেকনোক্রাটের আমল থেকেই ভারতীয় গণতন্ত্রে ফাটল শুরু। (অসমাপ্ত)
++লন্ডন ১৯ মে শনিবার, ২০১২ইং
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন