মঙ্গলবার, ৫ জুন, ২০১২

গণকল্যাণকামী রাজতন্ত্র স্বৈরাচারী প্রজাতন্ত্রের চাইতে অনেক বেশি ভাল

খুব বেশি দিন আগের কথা নয়। সম্ভবত পনেরো কুড়ি বছর আগের কথা। ব্রিটেনের বর্তমান রাণী দ্বিতীয় এলিজাবেথ বাকিংহাম প্রাসাদে তাঁর শয়নকক্ষে ঘুমাচ্ছিলেন। মধ্যরাত পেরিয়ে গেছে। হঠাৎ কি একটা শব্দে রানীর ঘুম ভেঙ্গে গেল। জেগে উঠে দেখেন একটা অপরিচিত লোক তাঁর শয্যাপার্শ্বে বসে আছে। রাণী বিস্মিত হলেন। এই কঠোর পাহারাধীন রাজপ্রাসাদে সাধারণ বেশভূষার এই লোকটি ঢুকল কেমনে? সে কি একজন গুপ্ত ঘাতক? রানী ভীত হলেন না। ভীত হয়ে চিৎকার করে সেপাই সান্ত্রীদেরও ডাকলেন না। বরং শিষ্টাচারের সঙ্গে লোকটির সঙ্গে কথা বলতে শুরু করলেন। সে কে, কি করে ইত্যাদি কথা। লোকটিও রানীর কাছে একটা সিগারেট খেতে চেয়েছিল।
রানী দ্বিতীয় এলিজাবেথের প্রজ্ঞা, সাহস ও বুদ্ধিমত্তার পরিচয় সেদিন আরও ভালভাবে প্রকাশ পেয়েছে। লোকটি গুপ্ত ঘাতক হলে রানীকে সে রাতে অনায়াসে হত্যা করতে পারত। কিন্তু সে আশঙ্কায় কাতর না হয়ে তিনি তাঁকে সহজ কথাবার্তায় ভুলিয়ে রেখে সময় কাটিয়ে দেন। ইত্যবসরে প্রাসাদ রক্ষীরা ঘটনাটির আঁচ পায়। তারা সঙ্গে সঙ্গে রানীর নিরাপত্তার ব্যবস্থা করে এবং লোকটিকে ধরে ফেলে। পরে জানা যায়, লোকটি উন্মাদ কিংবা গুপ্ত ঘাতক নয়, সে সুযোগ পেয়ে প্যালেসে ঢুকেছিল। কি উদ্দেশ্যে, কেমন করে ঢুকেছিল সে খবর পরে প্রকাশ করা হয়েছিল, তা এখানে প্রাসঙ্গিক নয়।
ব্রিটিশ রানীর প্রতি সেদিন আমার ব্যক্তিগত শ্রদ্ধা বেড়ে যায়। এই শ্রদ্ধা আরও বেড়ে যায় আরও একটি ঘটনায়। মার্গারেট থ্যাচার তখন ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী। আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ছিলেন রিগান। আমেরিকার সঙ্গে ব্রিটেনের সম্পর্ক তখন মিত্রতা থেকে আনুগত্যে পরিণত হয়। পরবর্তীকালে ব্রিটেনের লেবার দলীয় প্রধানমন্ত্রী ব্লেয়ারকে যেমন বলা হতো মার্কিন প্রেসিডেন্ট জর্জ বুশের ‘পুডল’, তেমনি তার আগে মার্গারেট থ্যাচারকে বলা হতো প্রেসিডেন্ট রিগানের ‘পলিটিক্যাল মিসট্রেস।’ মার্কিন নীতির প্রতি আনুগত্য ছিল থ্যাচারের পররাষ্ট্রনীতির বৈশিষ্ট্য।
ইরাক আক্রমণের জন্য জর্জ বুশ যেমন সাদ্দামের হাতে বিশ্বধ্বংসী মারণাস্ত্র আছে বলে মিথ্যা অজুহাত তুলেছিলেন; তার আগে রিগান তেমনি কিউবা ও ফিদেল ক্যাস্ট্রোকে বিশ্বশান্তির জন্য বিপজ্জনক শক্তি আখ্যা দিয়ে মিথ্যা প্রচার চালান যে, গ্রেনেডা নামক দেশটিতে কিউবা সামরিক ঘাঁটি স্থাপন করেছে এবং গ্রেনেডার সৈন্যদের যুদ্ধের জন্য ট্রেনিং দিচ্ছে। এমনকি জঙ্গী বিমান অবতরণ উড্ডয়নের জন্য এয়ারপোর্টে বিশেষ রানওয়ে তৈরি করছে। এই মিথ্যা অজুহাতে আমেরিকা গ্রেনেডায় হামলা চালায় এবং দেশটি দখল করে।
গ্রেনেডা (ব্রিটিশ) কমনওয়েলথের অন্তর্ভুক্ত দেশ। ব্রিটিশ রানী তাঁর নিয়মতান্ত্রিক প্রধান। এই দেশে হামলা চালাতে হলে তাঁর একটা আনুষ্ঠানিক অনুমতি প্রয়োজন। ব্রিটেনের রানীকে এটুকু সৌজন্য দেখানোও প্রয়োজন মনে করেননি। মার্গারেট থ্যাচার ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী থাকা সত্ত্বেও এর কোন প্রতিবাদ জানাননি। রানী তাতে ক্ষুব্ধ হন। কিন্তু তিনি কনস্টিটিউশনাল মনার্ক। নির্বাচিত সরকারের কাজে বাধা দিতে পারেন না। কমনওয়েলথের অবমাননা বরদাশ্ত করার মতো রাইী তিনি নন।
গ্রেনেডায় মার্কিন হামলায় পর পরই প্রধানমন্ত্রী হিসেবে মার্গারেট থ্যাচার যখন রানীর সঙ্গে তাঁর মাসিক সাক্ষাতকারের সভায় যান, তখন রানী তাঁকে তাঁর সামনে বসার অনুমতি দেননি। রানী অনুমতি না দেয়া পর্যন্ত কোন প্রধানমন্ত্রী বা মন্ত্রী তাঁর সামনে আসন গ্রহণ করতে পারেন না। রানী সাধারণত সকলকেই আসন গ্রহণের অনুরোধ জানান। সেদিন মার্গারেট থ্যাচারকে আসন গ্রহণের অনুমতি দেননি। তাঁকে এক ঘণ্টা রানীর সামনে ঠায় দাঁড়িয়ে থাকতে হয়েছিল। ব্রিটেনের কাগজগুলোতে তখন এই খবর ফলাও করে ছাপা হয়েছিল এবং বলা হয়েছিল, গ্রেনেডার ঘটনায় আত্মসম্মানে আঘাত লাগায় রানী এইভাবে তাঁর ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। খবরটি পাঠ করে শ্রদ্ধায় তাঁর প্রতি মাথা নুইয়ে মনে মনে বলেছি, তাঁকে তাসের রানী বলা হলেও তিনি তা নন।
দীর্ঘ ষাট বছর তিনি ব্রিটেনের নিয়মতান্ত্রিক প্রধান। অন্তত ১২ জন প্রধানমন্ত্রী তিনি এই সময়ে দেখেছেন। চার্চিলের মতো ঝানু রাজনীতিক এবং বর্ষীয়ান ব্যক্তিত্বকে তিনি প্রধানমন্ত্রী হিসেবে পেয়েছেন। আবার বর্তমানে ডেভিড ক্যামেরনকে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে পেয়েছেন, যার বয়স তাঁর সকল সন্তানের চাইতে অনেক কম। সবচাইতে বিস্ময়ের কথা, গত ষাট বছরে অনেক সমাজতন্ত্রী (লেবার) এবং কট্টর ধনতান্ত্রিক (কনজারভেটিভ) দল তাঁর অধীনে সরকার পরিচালনা করেছে। এই সরকারগুলোর নীতিগত বৈপরীত্য তাঁর নিরপেক্ষতাকে স্পর্শ করেনি। তিনি কোন জনপ্রতিনিধিত্বমূলক সরকারের কাজে হস্তক্ষেপ করেননি, কোন নির্বাচিত সরকারও রানীর নিয়মতান্ত্রিক মর্যাদাকে ক্ষুণ করেনি।
ব্রিটিশ রাজতন্ত্র এক সময় পার্লামেন্টের সঙ্গে, চার্চের সঙ্গে বিরোধ ও সংঘাতে জড়িয়েছে, কিন্তু গত দেড় শ’, দু’শ’ বছর ধরে তাঁরা তাঁদের নিয়মতান্ত্রিক অবস্থান থেকে ব্রিটিশ গণতন্ত্রের ছাতাটিকে দৃঢ়ভাবে ধারণ করে আছেন। ব্রিটিশ গণতন্ত্রের রক্ষাকবচের মতো এই রাজতন্ত্র। এই রাজতন্ত্রের লক্ষ্য রাজ্য শাসন নয়, বরং গণকল্যাণ। বর্তমান রানীর চরিত্রে তাই মানবিক গুণাবলীর বহির্প্রকাশ স্পষ্ট। গত ষাট বছরে ব্রিটিশ রাজতন্ত্র এত সঙ্কটের মুখোমুখি হয়েছে। অনেকে ভেবেছেন তা অনতিক্রমনীয়। কিন্তু রানী এলিজাবেথ অসীম ধৈর্য ও প্রজ্ঞার সঙ্গে তা অতিক্রম করেছেন। 
সাম্রাজ্য হারানোর পর ব্রিটেনের মানুষের এক উল্লেখযোগ্য অংশ ভেবেছে, এই ব্যয়বহুল রাজতন্ত্র অনাবশ্যক। তার বদলে প্রজাতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করা হোক। রানীর নিরলস পরিশ্রম, দেশ-বিদেশ ঘুরে ব্রিটেনের ভাবমূর্তি নতুনভাবে প্রতিষ্ঠা এবং সাবেক উপনিবেশগুলোর সঙ্গে সম্পর্কের উন্নয়ন এবং ব্রিটিশ অর্থনীতির সম্প্রসারণ প্রমাণ করেছে, এ রাজতন্ত্র ব্রিটেনের বিশ্ব-ভূমিকা ও অর্থনৈতিক সমৃদ্ধির জন্য অপরিহার্য। ব্রিটেনের এক বামপন্থী বুদ্ধিজীবী একবার লিখেছিলেন, আমি ঈশ্বরে বিশ্বাস হারাতে পারি, কিন্তু ব্রিটিশ রাজতন্ত্রে বিশ্বাস হারাতে চাই না।’ ব্রিটেনে যাঁরা রাজতন্ত্র প্রথার ঘোর বিরোধী, তাঁদের অনেকেই বর্তমান রানীর প্রতি শ্রদ্ধা পোষণ করেন। 
এক সময় মনে হয়েছিল, এই রাজত্ব বুঝি dysfuctional বা অকার্যকর হয়ে গেছে। রাজপরিবারের ক্রমাগত বিবাহ বিচ্ছেদ, বিরাট পরিবারের অনেক সদস্যের আচার ব্যবহার জনমনে ক্ষোভ সৃষ্টি করেছিল। রাজপরিবার বুঝি সম্পূর্ণ গণসম্পৃক্তা হারিয়েছে, এই আশঙ্কা যখন ডালপালা ছড়াচ্ছে, তখন রাজপরিবারে প্রিন্সেস ডায়ানার অন্তর্ভুক্তি এই ধারণা সম্পূর্ণ পাল্টে দেয়। জনসেবায় ডায়ানার নিষ্ঠা তাঁকে people of princess বা জনগণের রাজকুমারীতে পরিণত করে। সম্ভবত বর্তমান রানী তাঁর প্রয়াত পুত্রবধূর কাছ থেকেও এ ব্যাপারে কিছুটা শিক্ষা গ্রহণ করেছেন। 
ডায়ানার আকস্মিক মৃত্যুর পর ব্রিটিশ জনগণ এতটা ক্ষুব্ধ এবং রাজপরিবারকে সেজন্য এতটা দায়ী মনে করেছিল যে, এক সময় রাজতন্ত্র বিরোধী ব্যাপক জনমত গড়ে ওঠার আশঙ্কা দেখা দিয়েছিল। রানীর এবারের ডায়মন্ড জুবিলি উপলক্ষে লেখা সম্পাদকীয়তে (৩ জুন রবিবার) সানডে টাইমস মন্তব্য করেছে ‘....after the death of Diana, for a number of hours the Monarchy feared being abused in the street'.(ডায়ানার মৃত্যুর পর কয়েক ঘণ্টা ধরে রাজপরিবারের সদস্যরা আশঙ্কা করছিলেন রাস্তায় পেলে তাদের মারধর করা হবে।)’
এই ভয়ানক পরিস্থিতি থেকেও ব্রিটিশ রাজ পরিবার ও রাজতন্ত্রকে রক্ষা করেছেন রানী দ্বিতীয় এলিজাবেথ। তিনি সাহসের সঙ্গে জনগণের সম্মুখীন হয়েছেন, ডায়ানার প্রতি যথোচিত সম্মান দেখিয়েছেন এবং জনগণের সেবায় এবং তাদের নৈকট্যে আরও বেশি সরে এসে তাঁদের হারানো আস্থা পুনরুদ্ধার করেছেন। এখন জনমত জরিপে দেখা যায়, ব্রিটেনের জনসংখ্যার বিরাট অংশই রাজতন্ত্র বহাল রাখার পক্ষপাতী।
রানীর চরিত্রে রাজকীয় আভিজাত্য আছে, কিন্তু তা মানবিকতার গুণম-িত। একবার তিনি অস্ট্রেলিয়া সফরে গেছেন দেশটির নিয়মতান্ত্রিক প্রধান হিসেবে। এক বিক্ষুব্ধ আদিবাসী নেতা রানীকে সংবর্ধনা জানাতে এসে তাঁকে নগ্ন পশ্চাদ্বেশ দেখিয়েছিল। রানীর হস্তক্ষেপে তাৎক্ষণিক পুলিশী নির্যাতন থেকে সে বেঁচে যায়। একবার রানী বাংলাদেশ সফরে গেছেন। এক দুস্থ শিশু কল্যাণ কেন্দ্রে তিনি গেলে এক দুস্থ শিশু মায়ের কোলে বসে তাঁর ময়লা হাতে রানীর গলার হার চেপে ধরেছিল। রানী বিব্রত হননি। মিষ্টি হেসে শিশুটিকে আদর করে গলার হারটি তার হাত থেকে মুক্ত করেছিলেন। এবার নারীবর্ষ উপলক্ষ করে কমনওয়েলথ-প্রধানমন্ত্রী বৈঠকে তিনি তিন দেশের তিন নারী প্রধানমন্ত্রীকে পাশে নিয়ে ছবি তুলেছেন। তাঁর একপাশে দাঁড়ানো ছিলেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
ব্রিটেনে বাস করছি আজ ৩৮ বছর হয়ে গেল। ব্রিটিশ ওয়েলফেয়ার স্টেটের সকল সুযোগ সুবিধা ভোগ করছি এবং ব্রিটিশ সমাজে নানা অসঙ্গতি থাকা সত্ত্বেও নাগরিক অধিকারগুলো মোটামুটি ভোগ করতে পারছি। একটা আইনী শাসন ব্যবস্থার মধ্যে বাস করছি। নিজের দেশের মতো যখন তখন গুম বা হত্যার শিকার হওযার আশঙ্কা খুব কম। হলেও পুলিশ নিশ্চুপ থাকবে না। পৃথিবীর উন্নত-অনুন্নত নানা দেশ ঘুরেছি। এমনকি সেসব দেশ বিদেশী শাসন বা রাজতন্ত্র উচ্ছেদ করে প্রজাতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করেছে সেসব দেশেও ঘুরেছি। 
কেন, আমার নিজের দেশও তো একটি রিপাবলিক বা প্রজাতন্ত্রী দেশ। শুধু প্রজাতন্ত্রী নয়, গণপ্রজাতন্ত্রী দেশ। এখানে কিংবা বাংলাদেশের মতো আরও কোন কোন তথাকথিত প্রজাতান্ত্রিক দেশে প্রজা সাধারণ কতটুকু নাগরিক অধিকার ভোগ করে? কতটুকু আইনের শাসনের নিরাপত্তার মধ্যে বাস করে? রাষ্ট্রের কতটুকু কল্যাণসেবা (welfare service) এসব দেশের মানুষ পায়? বাস্তবে আদৌ পায় না। 
ব্রিটেনের রানী কখনও চড়া গলায় কথা বলেন না। কাউকে হুমকি দেন না। এই সন্ত্রাসের ভয়াবহ হুমকির যুগেও এবারের ডায়মন্ড জুবিলি উৎসবেও দেখলাম, তিনি গণমানুষের কতটা কাছাকাছি চলে আসতে পারেন। আর আমাদের প্রজাতন্ত্রী দেশের রাজনৈতিক নেতা-নেত্রীর কণ্ঠে সর্বদা শুধু হুমকি। ‘হতে দেব না’, ‘বরদাশত করা হবে না’, ‘টেনে নামাব’, ‘রক্ত গঙ্গা বইবে’ আরও কত কি। ব্রিটেনের রানীরও জনসাধারণের কাছে জবাবদিহিতা আছে। আমাদের প্রজাতন্ত্রী দেশের নেতানেত্রীদের নেই। তাঁরা গণতান্ত্রিক দেশের গণতান্ত্রিক নেতানেত্রীর মতো নন। স্বৈরতান্ত্রিক দেশের একনায়ক ও ডিক্টেটরদের মতো কথা বলেন, ক্ষমতার প্রতাপ দেখান অথচ দেশটির পরিচয় প্রজাতন্ত্র এবং নেতানেত্রীদের পরিচয় গণতন্ত্রী। 
আজকাল আবার প্রজাতন্ত্রের সঙ্গে নানা বিশেষণযুক্ত হয়েছে। যেমন গণপ্রজাতন্ত্র, ইসলামী প্রজাতন্ত্র ইত্যাদি। এসব প্রজাতন্ত্রের ছোট-বড় অনেক দেশেই নাগরিক অধিকার, মানবাধিকার বঞ্চিত মানুষেরা কী দুঃসহ অবস্থা ও অত্যাচারের মধ্যে বাস করেন, রাষ্ট্র তার সকল দায়িত্ব এড়িয়ে কেমন ক্ষমতার দ- ঘোরায় নিপীড়িত মানুষের মাথায়, তার ছবি কি বাংলাদেশেও নেই? সারা জীবনের এই তিক্ত অভিজ্ঞতা থেকেই বলতে ইচ্ছে করে গণকল্যাণকামী রাজতন্ত্র স্বৈরাচারী প্রজাতন্ত্রের চাইতে অনেক বেশি ভাল। তথাকথিত প্রজাতন্ত্রী শাসকদের চাইতে ব্রিটিশ রাজতন্ত্রের রানী আমার কাছে অনেক বেশি শ্রদ্ধাভাজন। 

লন্ডন, ৫ জুন মঙ্গলবার, ২০১২ ॥

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন